0
ভূমি রেকর্ড ও ডিজিটাল জরিপ নিয়ে তথ্যাদি

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর হতে নকশা বা ম্যাপ সরবরাহের তথ্য


মুদ্রিত নকশা বা ম্যাপ সিট সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি কপি মূল্য
> মৌজা ম্যাপ (যেমন- বি.এস., আর. এস. ইত্যাদি) - ৫০০ টাকা
> থানা ম্যাপ - ৭০০ টাকা
> জেলা ম্যাপ সাদা - ৮০০ টাকা
> জেলা ম্যাপ রঙ্গিন - ১০০০ টাকা
> বাংলাদেশ ম্যাপ - ১৫০০ টাকা

ম্যাপ প্রাপ্তির জন্য নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে এবং ফরমে আবশ্যিকভাবে ২০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি সংযোজন করতে হবে।

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর থেকে খতিয়ান সরবরাহ করা হয় না এবং নকশা বা ম্যাপের ফটোকপি সরবরাহ করা হয় না। শুধুমাএ স্ক্যানডকৃত নকশার প্রিন্টেড কপি সরবরাহ করা হয়।
নকশা বা ম্যাপের আবেদনপএ জমা গ্রহন: সকাল ৯.৩০ থেকে দুপুর ১.০০ টা
নকশা সরবরাহ: বিকাল ৪.০০ থেকে ৫.০০ টা

নোটিশ
এতদ্বারা সর্ব সাধারনের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর হতে ম্যাপ সরবরাহের আবেদনের ফি ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ (ডি.সি.আর) এর মাধ্যমে গ্রহন করা হয়। ডি.সি.আর এর মাধ্যমে গৃহীত আবেদন ফি ফেরত প্রদানের কোন সুযোগ নেই। তাই মৌজা ম্যাপের ফটোকপির আবেদন দেয়ার সময় অধিদপ্তর হতে ম্যাপ সরবরাহ সম্ভব হবে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে আবেদনপএ ও ফি জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভুল তথ্যের জন্য মৌজা ম্যাপের ফটোকপি সরবরাহ সম্ভব না হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
- আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ

নকশা বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ: মো: লুৎফর রহমান, ইন-চার্জ, জি. আই. এস. শাখা, রুম নং - ৪১৯, চতুর্থ তলা।

নকশা বা ম্যাপ সরবরাহ নিতে কোন হয়রানি বা ভোগান্তির সম্মুখীন হলে যোগাযোগ করুন: চার্জ অফিসার (বাউন্ডারি- ১), রুম নং – ১১১

সংগৃহীত (ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ২৮ শহীদ তাজউদ্দীন রোড, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, ঢাকা-১২০৮)

-----------------------------------------------------------

আপনি যদি ভূমি মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে ভূমি জরিপকালে আপনার করণীয় বিষয় জেনে নিন।

> জরিপ কর্মচারীগণ মাঠে যাওয়ার আগেই আপনার জমির সীমানা খুঁটি গেড়ে চিহ্নিত করে রাখুন। জমির মালিকানার সমস্ত দলিল/কাগজপএ হালনাগাদ অবস্থায় কাছে রাখুন।

> জমির মাপ গ্রহনের সময় আপনি নিজে বা আপনার বিশ্বস্ত প্রতিনিধিকে উপস্তিত রাখুন। আপনার জমির আইল বা সীমানা বা দৈর্ঘ্য প্রস্থ সঠিকভাবে আঁকা বা লেখা হলো কিনা জেনে নিন এবং দেখে নিন।

> আপনার জমির নক্সা আঁকার পর আপনার জমির দখল রিসিট বা মাঠ পর্চা কোন তারিখে দেওয়া হবে তা জেনে নিন। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হয়ে জরিপ কর্মচারীদের নিকট থেকে আপনার রিসিট বা মাঠ পর্চা চেয়ে নিন। রিসিট বা পর্চায় আপনার নাম, পিতার নাম ও ডাকঘরসহ ঠিকানা ঠিকমত লেখা হল কিনা তা যাঁচাই করে নিন। এই কাজে কোন কর্মচারী অসহযোগিতা করলে ক্যাম্প ইনচার্জকে অথবা সেটেলমেন্ট অফিসারকে বলুন।

> মৌজা তসদিক বা এ্যটাসটেশনের তারিখ জেনে নিন। নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হয়ে আপনার পর্চাটি এ্যটাসটেশন করে সংরক্ষণ করুন। এই পর্যায়ে পর্চা ও নক্সায় ত্রুটি থাকলে ডিসপুট দিয়ে সংশোধন করা যাবে।

> খসড়া প্রকাশনার তারিখ জেনে নিন। আপনার জমি আপনার নামে ঠিকমত রেকর্ড হয়ে প্রকাশিত হল কিনা দেখে নিন। যদি না হয়, তাহলে ঐ ক্যাম্পের ক্যাম্প অফিসারের নিকট আপওি দাখিল করুন।

> একজন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার অথবা উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আপওি শুনবেন ও রায় দিবেন।

> যদি আপওি রায়ে আপনি সন্তুষ্ট হতে না পারেন, তাহলে রায় ঘোষণার পর ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে অথবা যেদিন আপওি শুনানির রায়ের কপি সরবরাহ করা হবে, সেদিন থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপীল আবেদন দাখিল করতে পারবেন।

> আপীল সমাপ্তির পরে অপেক্ষা করুন। আপীলের রায়ে আপনি সন্তুষ্ট না হলে মৌজা গেজেট হওয়ার এক বছরের মধ্যে ২০০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন।

> ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে যদি আপনি আপনার প্রার্থীত প্রতিকার না পান, তাহলে ল্যান্ড সার্ভে আপীলেট ট্রাইব্যুনালে আপনি আবেদন করতে পারবেন। আপীলেট ট্রাইব্যুনালেও কোন প্রতিকার না পেলে, দেওয়ানী আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন।

বি:দ্র: বৈধ রশিদ ছাড়া কোন প্রকার লেনদেন করবেন না। কোন অভিযোগ থাকলে ক্যাম্প অফিসার বা সেটেলমেন্ট অফিসারকে জানান।
সংগৃহীত (ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ২৮ শহীদ তাজউদ্দীন রোড, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, ঢাকা-১২০৮)

------------------------------------------------------------------------

ভূমি জরিপ ও রেকর্ড প্রস্তুতে আপনার করণীয়


> জরিপ এলাকায় জরিপ শুরু হওয়ার সাথে সাথে আপনার মালিকানাধীন জমির সীমানা / আইল জরিপ কাজে নিয়োজিত আমিনদের দেখিয়ে দিন।

> খানাপুরী স্তরে নিয়োজিত আমিনদের নিকট আপনার জমির পূর্ব জরিপের দাগ, খতিয়ান নম্বর, দলিলপএসহ মালিকানার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপএ প্রদর্শন করে আপনার জমির সঠিক রেকর্ড প্রণয়নের সহায়তা করুন। আমিনগণ মাঠে নেমে ১৫ দিনে মৌজার জরিপ কাজ শেষ করবেন।

> বুঝারত স্তরে আপনাকে আপনার জমির পর্চা প্রদান করা হবে। পর্চায় আপনার নাম, ঠিকানাসহ জমির দাগ, খতিয়ান নম্বর, জমির পরিমাণ মিলিয়ে নিন। এই কাজগুলি আমিন এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করবেন।

> পর্চায় কোনরূপ ভুলভ্রান্তি পরিলক্ষিত হলে 'বিবাদ (ডিসপিউট) ফরম' পূরণ করে সংশ্লিষ্ট আমিনের নিকট দাখিল করুন এবং হল্কা অফিসারকে শুনানি গ্রহন করে বিবাদ নিস্পওিতে সহায়তা করুন। হল্কা অফিসার বিবাদ শুনানির জন্য আপনার এলাকায় এক সপ্তাহের বেশি থাকবেন না।

> তসদিক স্তরে খানাপুরী ও বুঝারত স্তরে প্রণীত আপনার খতিয়ান রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিককৃত (সত্যায়িত) করে দিন। এ স্তরে খতিয়ান প্রণয়নে ভুলভ্রান্তি পরিলক্ষিত হলে বিবাদ (ডিসপিউট) দাখিল করে তসদিক অফিসার কর্তৃক তা সংশোধন করিয়ে নিন। তসদিক অফিসার ছোট মৌজা এক মাসে এবং বড় মৌজা দুই মাসে তসদিক সম্পন্ন করবেন।

> তসদিক সমাপ্তির পর খতিয়ান জনসাধারণের জন্য ৩০ দিন উন্মূক্ত রাখা হয় এবং এ পর্যায়ে মালিকদের নামের প্রথম অক্ষর অনুসারে খতিয়ানে একটি নতুন নম্বর প্রদান করা হয়। আপনার খতিয়ানে এই ডিপি নম্বর মিলিয়ে নিন।

> ডিপি খতিয়ান সম্পর্কে আপনার কোন আপওি থাকলে উল্লিখিত ৩০ দিনের মধ্যে ১০ টাকা কোর্ট ফি দিয়ে ৩০ বিধি অনুযায়ী খসড়া প্রকাশনা ক্যাম্পে আপওি দাখিল করতে পারেন। আপওি অফিসার আপনার আপওি শুনে নিস্পওি করবেন।

> আপওি অফিসারের রায়ে সংক্ষুদ্ধ হলে ৩১ বিধি অনুযায়ী আপনি আপীল দায়ের করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আপীল স্তরই রেকর্ড প্রস্তুতের জন্য আপনাকে দেয়া সর্বশেষ সুযোগ। আপওির রায় প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে আপীল দায়ের না করলে আপনার আবেদনটি তামাদির কারণে অগ্রহণযোগ্য হবে।

> আপীল শুনানীর পর নকসা ও রেকর্ড চূড়ান্ত হবে এবং মুদ্রণের জন্য ছাপাখানায় প্রেরণ করা হবে।

> নকশা ও পর্চা মুদ্রিত হয়ে চূড়ান্ত প্রকাশনা কালে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প অফিস থেকে প্রতিটি পর্চা এবং প্রতিটি নকশার মূল্য বাবদ নির্দিষ্ট টাকা জমা দিয়ে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে পর্চা / ম্যাপ সংগ্রহ করতে পারেন। পরবর্তীতে পর্চা ও ম্যাপ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে হস্তান্তরিত হলে আপনি সেখান থেকেও সমপরিমাণ টাকা জমা দিয়ে পর্চা ও ম্যাপ সংগ্রহ করতে পারেন।

> মৌজার রেকর্ড চূড়ান্ত প্রকাশনা সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর, প্রকাশিত রেকর্ড সম্পর্কে কোন আপওি থাকলে, আপনি ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ২০০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে অথবা দেওয়ানী আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা করতে পারেন।

মনে রাখবেন
> জরিপ চলাকালীন বদর ফি, খতিয়ান ও নকশার মূল্য ডিসিআর এর মাধ্যমে গ্রহন করা হয়। ডিসিআর বহির্ভূত সকল লেনদেন নিষিদ্ধ।

> ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর হতে জমির কোন প্রকার পর্চা বা ম্যাপ বেসরকারীভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা হয় না।

> মাঠ পর্যায়ে জরিপ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা / কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে, তা সংশ্লিষ্ট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার বা ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অবহিত করুন।

সংগৃহীত (ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ২৮ শহীদ তাজউদ্দীন রোড, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, ঢাকা-১২০৮)

------------------------------------------------------------------------------------------------------

ডিজিটাল ভূমি জরিপের স্তরসমূহ

স্তর ১: ভূমি নকশা প্রণয়ন (কিস্তোয়ার)
নিজ দায়িত্বে আইল সীমানা ঠিক করুন। নকশা প্রস্তুতকালে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত থেকে আইল সীমানা দেখিয়ে দিন।

স্তর ২: খানাপুরী কাম বুঝারত স্তরে মাঠ পর্চা সংগ্রহ
প্রয়োজনীয় কাগজপএ দেখিয়ে মাঠ রেকর্ড করিয়ে মাঠ পর্চা সংগ্রহ করুন। অভিযোগ থাকলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।

স্তর ৩: তসদিক (সত্যায়ন)
নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে তসদিক ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে মাঠ পর্চা সত্যায়িত করিয়ে নিন। সমস্যা থাকলে সংশোধনের জন্য ডিসপিউট দায়ের করা যাবে। দালাল থেকে দূরে থাকুন।

স্তর ৪: খসড়া প্রকাশনা (পাবলিক ডিসপ্লে) তথ্য যাচাই করা
সত্যায়িত মাঠ পর্চায় ডিপি নম্বর বসিয়ে নিন ও সংরক্ষণ করুন। নকশা ও রেকর্ডে ভুল থাকলে সংশোধনের জন্য ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে আপওি দাখিল করুন।

মনে রাখবেন, এ সকল কাজের জন্য ভূমি মালিকদের কোনো টাকা-পয়সা প্রদান করতে হবে না।

সংগৃহীত (ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, ২৮ শহীদ তাজউদ্দীন রোড, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, ঢাকা-১২০৮)

Post a Comment

If you learn something from our post please comment...

 
Top