আমরা অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন নিয়ে অনেক কৌতহলে থাকি, তাই আজ আপনাদের জানাবো বিশ্বের পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন নিয়ে কিছু তথ্য। অনেক দিন একচেটিয়া রাজত্ব করার পর অবশেষে দুবাই এর বারজ খলিফা তার সুউচ্চ থাকার গৌরব হারাচ্ছে, আর একই সাথে সে গৌরব এর অধিকারি হতে যাচ্ছে সৌদি আরবে নির্মিত এক কিলোমিটার উঁচু জেদ্দা টাওয়ার যার আরেক পরিচিত নাম আব্দুল্লাহ টাওয়ার।

আসুন তবে জেনে নেই এই টাওয়ারের কিছু আশ্চর্য তথ্যাদি যা আপনার জ্ঞানের ভান্ডার কে প্রসারিত করবে।






- এটা নির্মিত হচ্ছে মরু দেশ সৌদি আরবের জেদ্দা নগরীতে।


- এর উচ্চতা হবে ১০০০ মি বা ১ কি.মি. 


- যা কিনা দুবাইতে অবস্থিত বুরজ খালিফা থেকেও ১৭২মি উঁচু। 


- যা তৈরী হচ্ছে ৫৩০,০০০ বর্গ মি. এলাকা জুড়ে।  


- ৫৯ টি অত্যাধুনিক লিফট ব্যবহার করা হচ্ছে এই সু-উচ্চ টাওয়ারে।  


- যার মাঝে ৫৪ টি লিফট সিঙ্গেল ডেক আর ৫ টি লিফট ডাবল ডেক সিস্টেম। 


- ১কি.মি. এই টাওয়ার অর্থায়ন করছেন সৌদি বিলিয়নার প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল। 


- যিনি হলেন সাবেক সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহ এর ভাতিজা এবং স্বর্ণ দিয়ে বিমান নির্মাতা। 


- আব্দুল্লাহ বা জেদ্দা টাওয়ার নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১.২ বিলিয়ন ডলার । 


- জেদ্দা টাওয়ার এর প্রাথমিক নির্মাণকাল ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। 


-আব্দুল্লাহ টাওয়ারের কাজ দেয়া হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের নামকরা কোম্পানী সৌদি বিন লাদেন গ্রুপ কে। 


- এই টাওয়ারের ডিজাইন করেছেন বারজ খলিফার ডিজাইনার শিকাগো ফার্মের অ্যাড্রিয়ান স্মিথ আর গরডন গিল আর্কিটেকচার। 


নিচে জেদ্দা টাওয়ারের কিছু ইমেজ দেয়া হল যা থেকে জেদ্দা টাওয়ারের উচ্চতা সম্পরকে কিছু ধারনা পেতেই পারেন।




এছাড়াও শোনা যাচ্ছে ইরাকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এএমবিএস আর্কিটেক্টস যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির মানুষকে আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কিছু দিন আগেই প্রতিষ্ঠানটি উন্মুক্ত করেছে আকাশচুম্বী এক টাওয়ারের পরিকল্পনা, যার উচ্চতা এক হাজার ১৫২ মিটার! এই টাওয়ারের নাম হবে ‘দ্য ব্রাইড’। ইরাকের সর্ববৃহৎ বন্দর বসরায় নির্মিত হবে এই বিশাল দালান। ডিজিন ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে এই নির্মিতব্য ভবনের খবর।
তিন হাজার ৭৮০ ফুট উচ্চতার এই টাওয়ারটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি ছাড়িয়ে যাবে দুবাইয়ে অবস্থিত বর্তমান পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ভবন ‘বুর্জ খলিফা’-কেও। বুর্জ খলিফার উচ্চতা দুই হাজার ৭২৩ ফুট। দ্য ব্রাইডের পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ২৮০ বর্গফুটের বুকজুড়ে থাকবে অফিস, হোটেল, আবাসন, বাণিজ্যকেন্দ্র,পার্ক, এমনকি বাগানও। হাজার হাজার মানুষ এই বিশালাকৃতি টাওয়ারের বিস্তৃতি উপভোগ করতে পারবেন। ছায়াযুক্ত বিশাল পার্ক ছাড়াও থাকবে ব্যায়াম ও হাঁটার জন্য বড় রাস্তা। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এএমবিএস আর্কিটেক্টসের আগে ইরাকের সর্বপ্রথম এবং নান্দনিক পাবলিক লাইব্রেরিটিরও ডিজাইন করেছিল।

 
Top