ওহীর সূচনা অধ্যায়
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ১ :: হাদিস ১
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
হুমায়দী (র) ........... ‘আলকামা ইব্ন ওয়াক্কাস আল-লায়সী (র) থেকে বর্ণিত, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে- সেই উদ্দেশ্যেই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য।
Narrated 'Umar bin Al-Khattab:
I heard Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi
wa sallam) saying, "The reward of deeds depends upon the intentions and every
person will get the reward according to what he has intended. So whoever
emigrated for worldly benefits or for a woman to marry, his emigration was for
what he emigrated for."
খন্ড ১ :: অধ্যায় ১ :: হাদিস ২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ ـ رضى الله عنه ـ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْىُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَحْيَانًا يَأْتِينِي مِثْلَ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ ـ وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَىَّ ـ فَيُفْصَمُ عَنِّي وَقَدْ وَعَيْتُ عَنْهُ مَا قَالَ، وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِيَ الْمَلَكُ رَجُلاً فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ ". قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْوَحْىُ فِي الْيَوْمِ الشَّدِيدِ الْبَرْدِ، فَيَفْصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا.
আবদুল্লাহ্ ইব্ন ইউসুফ (র)........ ‘আয়িশা (রা)
থেকে বর্ণিত, হারিস ইব্ন হিশাম (রা) রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া
রাসূলুল্লাহ্! আপনার প্রতি ওহী কিভাবে আসে? রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ কোন সময় তা
ঘন্টাধ্বনির ন্যায় আমার নিকট আসে। আর এটি-ই আমার উপর সবচাইতে কষ্টদায়ক হয় এবং তা
সমাপ্ত হতেই ফিরিশতা যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নেই, আবার কখনো ফিরিশতা মানুষের
আকৃতিতে আমার সঙ্গে কথা বলে। তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে ফেলি। আয়িশা (রা)
বলেন, আমি প্রচন্ড শীতের দিনে ওহী নাযিলরত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি। ওহী শেষ হলেই তাঁর
কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়ত।
Narrated 'Aisha:
(the mother of the faithful believers)
Al-Harith bin Hisham asked Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) "O
Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam)! How is the Divine Inspiration
revealed to you?" Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) replied,
"Sometimes it is (revealed) like the ringing of a bell, this form of Inspiration
is the hardest of all and then this state passes off after I have grasped what
is inspired. Sometimes the Angel comes in the form of a man and talks to me and
I grasp whatever he says." 'Aisha added: Verily I saw the Prophet (sallallahu
'alaihi wa sallam) being inspired divinely on a very cold day and noticed the
sweat dropping from his forehead (as the Inspiration was over).
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ১ :: হাদিস ৩
সহিহ বুখারী :: খন্ড ১ :: অধ্যায় ১ :: হাদিস ৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْوَحْىِ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ فِي النَّوْمِ، فَكَانَ لاَ يَرَى رُؤْيَا إِلاَّ جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ، ثُمَّ حُبِّبَ إِلَيْهِ الْخَلاَءُ، وَكَانَ يَخْلُو بِغَارِ حِرَاءٍ فَيَتَحَنَّثُ فِيهِ ـ وَهُوَ التَّعَبُّدُ ـ اللَّيَالِيَ ذَوَاتِ الْعَدَدِ قَبْلَ أَنْ يَنْزِعَ إِلَى أَهْلِهِ، وَيَتَزَوَّدُ لِذَلِكَ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى خَدِيجَةَ، فَيَتَزَوَّدُ لِمِثْلِهَا، حَتَّى جَاءَهُ الْحَقُّ وَهُوَ فِي غَارِ حِرَاءٍ، فَجَاءَهُ الْمَلَكُ فَقَالَ اقْرَأْ. قَالَ " مَا أَنَا بِقَارِئٍ ". قَالَ " فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ اقْرَأْ. قُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ. فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّانِيَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ اقْرَأْ. فَقُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ. فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّالِثَةَ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ * خَلَقَ الإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ * اقْرَأْ وَرَبُّكَ الأَكْرَمُ} ". فَرَجَعَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْجُفُ فُؤَادُهُ، فَدَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ رضى الله عنها فَقَالَ " زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي ". فَزَمَّلُوهُ حَتَّى ذَهَبَ عَنْهُ الرَّوْعُ، فَقَالَ لِخَدِيجَةَ وَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ " لَقَدْ خَشِيتُ عَلَى نَفْسِي ". فَقَالَتْ خَدِيجَةُ كَلاَّ وَاللَّهِ مَا يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا، إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتَكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَتَقْرِي الضَّيْفَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ. فَانْطَلَقَتْ بِهِ خَدِيجَةُ حَتَّى أَتَتْ بِهِ وَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى ابْنَ عَمِّ خَدِيجَةَ ـ وَكَانَ امْرَأً تَنَصَّرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَانَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ الْعِبْرَانِيَّ، فَيَكْتُبُ مِنَ الإِنْجِيلِ بِالْعِبْرَانِيَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكْتُبَ، وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ عَمِيَ ـ فَقَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ يَا ابْنَ عَمِّ اسْمَعْ مِنَ ابْنِ أَخِيكَ. فَقَالَ لَهُ وَرَقَةُ يَا ابْنَ أَخِي مَاذَا تَرَى فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَبَرَ مَا رَأَى. فَقَالَ لَهُ وَرَقَةُ هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي نَزَّلَ اللَّهُ عَلَى مُوسَى صلى الله عليه وسلم يَا لَيْتَنِي فِيهَا جَذَعًا، لَيْتَنِي أَكُونُ حَيًّا إِذْ يُخْرِجُكَ قَوْمُكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوَمُخْرِجِيَّ هُمْ ". قَالَ نَعَمْ، لَمْ يَأْتِ رَجُلٌ قَطُّ بِمِثْلِ مَا جِئْتَ بِهِ إِلاَّ عُودِيَ، وَإِنْ يُدْرِكْنِي يَوْمُكَ أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا. ثُمَّ لَمْ يَنْشَبْ وَرَقَةُ أَنْ تُوُفِّيَ وَفَتَرَ الْوَحْىُ.
ইয়াহ্ইয়া ইব্ন বুকায়র (র) ......... আয়িশা
(রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি সর্বপ্রথম যে ওহী আসে, তা
ছিল ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে ভোরের আলোর
ন্যায় প্রকাশ পেত। তারপর তাঁর কাছে নির্জনতা প্রিয় হয়ে পড়ে এবং তিনি ‘হেরা’ গুহায়
নির্জনে থাকতেন। আপন পরিবারের কাছে ফিরে আসা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে
যাওয়া---- এইভাবে সেখানে তিনি একাধারে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। তারপর
খাদীজা (রা)-র কাছে ফিরে এসে আবার অনুরূপ সময়ের জন্য কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেতেন।
এমনিভাবে ‘হেরা’ গুহায় অবস্থানকালে একদিন তাঁর কাছে ওহী এলো। তাঁর কাছে ফিরিশতা এসে
বললেন, ‘পড়ুন’। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ “আমি বললাম, ‘আমি পড়িনা’। তিনি বলেনঃ
তারপর তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হলো। তারপর
তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পড়ুন’। আমি বললামঃ আমিতো পড়ি না। তিনি দ্বিতীয়বার
আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হলো। এরপর তিনি আমাকে
ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ ‘পড়ুন’। আমি জবাব দিলাম, ‘আমিতো পড়িন’। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেন,
তারপর তৃতীয়বার তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। এরপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পড়ুন আপনার
রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক থেকে। পড়ুন আর আপনার রব্
মহামহিমান্বিত।” (৯৬: ১-৩)
তারপর এ আয়াত নিয়ে ররাসূলুল্লাহ্ (সা) ফিরে
এলেন। তাঁর অন্তর তখন কাঁপছিল। তিনি খাদীজা বিন্ত খুওয়ালিদের কাছে এসে বললেন,
‘আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও, আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও।’ তাঁরা তাঁকে চাদর দিয়ে ঢেকে
দিলেন। অবশেষে তাঁর ভয় দূর হলো। তখন তিনি খাদীজা (রা) এর কাছে সকল ঘটনা জানিয়ে
তাঁকে বললেন, আমি নিজের উপর আশংকা বোধ করছি। খাদীজা (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম,
কখখনো না। আল্লাহ্ আপনাকে কখখনো অপমানিত করবেন না। আপনিতো আত্মীয়-স্বজনের সাথে
সদ্ব্যবহার করেন, অসহায় দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন,
মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন। এরপর তাঁকে নিয়ে
খাদীজা (রা) তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইব্ন নাওফিল ইব্ন ‘আবদুল আসাদ ইব্ন ‘আবদুল
‘উযযার কাছে গেলেন, যিনি জাহিলী যুগে ‘ঈসায় ’ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইবরানী
ভাষা লিখতে জানতেন এবং আল্লাহ্র তওফীক অনুযায়ী ইবরানী ভাষায় ইনজীল থেকে অনুবাদ
করতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বয়োবৃদ্ধ এবং অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খাদীজা (রা) তাঁকে
বললেন, ‘হে চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজার কথা শুনুন।’ ওয়ারাকা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘ভাতিজা! তুমি কী দেখ?’ রাসূলুল্লাহ্ (সা) যা দেখেছিলেন, সবই খুলে বললেন। তখন
ওয়ারাকা তাঁকে বললেন, ‘ইনি সে দূত যাঁকে আল্লাহ্ মূসা (আ) এর কাছে পাঠিয়েছিলেন।
আফসোস! আমি যদি সেদিন যুবক থাকতাম। আফসোস! আমি যদি সেদিন জীবিত থাকতাম, যেদিন তোমার
কাওম তোমাকে বের করে দেবে।’ রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ তাঁরা কি আমাকে বের করে দিবে?
তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, অতীতে যিনিই তোমার মত কিছু নিয়ে এসেছেন তাঁর সঙ্গেই শত্রুতা
করা হয়েছে। সেদিন যদি আমি থাকি, তবে তোমাকে প্রবলভাবে সাহায্য করব।’ এর কিছুদিন পর
ওয়ারাকা (রা) ইন্তিকাল করেন। আর ওহী স্থগিত থাকে।
Revelation ::
Bukhari :: Volume 1 :: Chapter 1 :: Hadith
3
Narrated 'Aisha:
(the mother of the faithful believers) The
commencement of the Divine Inspiration to Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi
wa sallam) was in the form of good dreams which came true like bright daylight,
and then the love of seclusion was bestowed upon him. He used to go in seclusion
in the cave of Hira where he used to worship (Allah alone) continuously for many
days before his desire to see his family. He used to take with him the journey
food for the stay and then come back to (his wife) Khadija to take his food
likewise again till suddenly the Truth descended upon him while he was in the
cave of Hira. The angel came to him and asked him to read. The Prophet
(sallallahu 'alaihi wa sallam) replied, "I do not know how to read." The Prophet
(sallallahu 'alaihi wa sallam) added, "The angel caught me (forcefully) and
pressed me so hard that I could not bear it any more. He then released me and
again asked me to read and I replied, 'I do not know how to read.' Thereupon he
caught me again and pressed me a second time till I could not bear it any more.
He then released me and again asked me to read but again I replied, 'I do not
know how to read (or what shall I read)?' Thereupon he caught me for the third
time and pressed me, and then released me and said, 'Read in the name of your
Lord, who has created (all that exists), created man from a clot. Read! And your
Lord is the Most Generous." (96.1, 96.2, 96.3) Then Allah's Messenger
(sallallahu 'alaihi wa sallam) returned with the Inspiration and with his heart
beating severely. Then he went to Khadija bint Khuwailid and said, "Cover me!
Cover me!" They covered him till his fear was over and after that he told her
everything that had happened and said, "I fear that something may happen to me."
Khadija replied, "Never! By Allah, Allah will never disgrace you. You keep good
relations with your kith and kin, help the poor and the destitute, serve your
guests generously and assist the deserving calamity-afflicted ones." Khadija
then accompanied him to her cousin Waraqa bin Naufal bin Asad bin 'Abdul 'Uzza,
who, during the pre-Islamic Period became a Christian and used to write the
writing with Hebrew letters. He would write from the Gospel in Hebrew as much as
Allah wished him to write. He was an old man and had lost his eyesight. Khadija
said to Waraqa, "Listen to the story of your nephew, O my cousin!" Waraqa asked,
"O my nephew! What have you seen?" Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa
sallam) described whatever he had seen. Waraqa said, "This is the same one who
keeps the secrets (angel Gabriel) whom Allah had sent to Moses. I wish I were
young and could live up to the time when your people would turn you out."
Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) asked, "Will they drive me
out?" Waraqa replied in the affirmative and said, "Anyone (man) who came with
something similar to what you have brought was treated with hostility; and if I
should remain alive till the day when you will be turned out then I would
support you strongly." But after a few days Waraqa died and the Divine
Inspiration was also paused for a while.
Post a Comment
If you learn something from our post please comment...