0


শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেই লেবুর উপকারি গুণাগুণ মানুষের জানা। এর মাঝে একটা প্রধান উপকারিতা হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির তৈরি করা রোগ বালাই দূরীকরণ এবং শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। আরেকটা হলো হজম শক্তি বাড়ানো এবং যকৃৎ পরিষ্কারের মাধ্যমে ওজন কমানোর ক্ষমতা। লেবুতে সাইট্রিক এসিড এর পাশাপাশি আরও রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বায়োফ্লাভোনোয়েড, পেক্টিন এবং লিমোনিন। এই সবগুলো পদার্থের প্রভাবেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রোগের সাথে শরীর যুদ্ধ করার শক্তি পায়। সকালে এক গ্লাস গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে এসব উপকার সর্বাধিক মাত্রায় পাবে আপনার শরীর। গরম পানি কেন? কারণ ঠাণ্ডা পানির চাইতে গরম পানি শরীরে শোষিত হয় অনেক দ্রুত এবং এর থেকে তত বেশি উপকৃত হবেন আপনি। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। আর সকালে উঠে অন্য যে কোনও কাজ করার আগেই এটা পান করবেন। তাহলেই পাবেন এর অসাধারণ সব উপকারিতা। . 

- এক গ্লাস পানি ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেযদি আপনি পান করেন, তবে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সক্রিয় হয়ে যায়। .

 - এক গ্লাস পানি যদি আপনি খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পান করেন তবে এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে বেশি। 

 - এক গ্লাস পানি গোসলের আগ মুহূর্তে আপনি পান করলে এটা আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। 

 - এক গ্লাস পানি ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে যদি পান করেন তবে আপনাকে হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। 

 - রাতে ঘুমানোর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে হজম প্রক্রিয়ার তেমন কোনো কাজ থাকে না। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য অন্তত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া উচিত। 

- প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে এক গ্লাস পানি খেলে নতুন মাংসপেশি ও কোষ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। 

 - প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৬ আউন্স হালকা গরম পানি খেলে শরীরের মেটাবলিসম ২৪% বেড়ে যায় এবং শরীরের ওজন কমে। 

 - প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস করে পানি খেলে মলাশয় পরিষ্কার হয় যায় এবং শরীর নতুন করে খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে সহজেই। 

 - প্রতিদিন সকালে মাত্র এক গ্লাস পানি খেলে বমি ভাব, গলার সমস্যা, মাসিকের সমস্যা, ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, আথ্রাইটিস, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি অসুখ কমাতে সহায়তা করে। 

 - এর অর্থ হলো শরীরের অম্ল-ক্ষারকের মাত্রা ঠিক রাখে লেবু। লেবু হজম হয়ে যাবার পর কিন্তু আর অম্লীয় থাকে না, ক্ষারীয় হয়ে যায়।ফলে এটি রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের অম্লতা বাড়তে দেয় না। অম্লতা বেড়ে গেলেই দেখা দেয় রোগ। 

 - ত্বকের কুঞ্চন এবং দাগ দূর করে লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। 

 - স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব দরকারি হল ভিটামিন সি। ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এটি দূর করে। 

 - আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকরী। 

 - সকালেই প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। খাবার থেকে শক্তি শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লেবু। 

 - আর এর গন্ধে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে নিমিষেই।দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতা দূরীকরণেও এটি অসামান্য। ক্ষতস্থান সেরে তুলতে সাহায্য করে অ্যাসকরবিক এসিড। 

 - আর হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এটি সহায়ক। স্ট্রেস এবং যে কোনও ধরণের ব্যাথার উপশম করে ভিটামিন সি। 

 - নিঃশ্বাসে লেবুর সতেজতা আনা ছাড়াও, এভাবে গরম পানির সাথে লেবুর রস পানে দাঁতের ব্যথা এবং জিঞ্জিভাইটিসের উপশম হয়। তবে এটা পানের পর পরই দাঁত ব্রাশ করবেন না কারণ সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। আগে দাঁত ব্রাশ করে তার পর এটা পান করা ভালো। 

 - লেবুপানি পান করার পর বিশুদ্ধ পানি খেতে পারেন এক গ্লাস। 

 - রাতে ঘুমানোর সময়ে যে পানি খরচ হয় সেটা পূরণ হয়ে যায় সকাল সকাল এই এক গ্লাস পানি পানের মাধ্যমে। 

 - লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখে। ফলে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারে এমন অম্লজাতীয় খাবার কম থাকে তাদের ওজন বাড়ে বেশি।

Post a Comment

If you learn something from our post please comment...

 
Top