১. যিনি কুরবানী দেবেন, কেবল তিনিই যিলহজ মাসের চাঁদ উঠার পর হতে কুরবানীর পশু জবাই করা পর্যন্ত নিজের চুল, গোঁফ, নখ কিছুই কাটবেন না।
মিশকাতঃ ১৪৫৯।
যদি ভুলে কেটে ফেলেন তাহলে এর জন্য তোওবা এবং ইস্তেগফার করতে হবে, কোন কাফফারা দিতে হবেনা। পরিবারের অন্য সবাই কাটতে পারবে। পরিবারের সবাইকে চুল, নখ কাটা হতে বিরত থাকতে হবে-- এমন ধারণা ভুল।
মিশকাতঃ ১৪৬১; সুবুলুস সালামঃ ৪/ ১৮৫।
ক. স্পষ্ট খোঁড়া।
খ. স্পষ্ট কানা।
গ. স্পষ্ট রোগী,জীর্ণ শরীর।
ঘ. অর্ধেক কান কাটা কিংবা ছিদ্র এবং অর্ধেক শিং ভাংগা।
মিশকাতঃ ১৪৬৫।
উৎসঃ ইমাম উবাইদুল্লাহ মুবারকপুরী, মিরআতুল মাফাতিহঃ ২/৩৬৩।
__________________________
১. কুরবানি কাদের উপর ফরয?
কুরবানি দেওয়া ফরয নয়, সুন্নতে মুয়াক্কাদা। যার সামর্থ্য আছে পশু কেনার, তিনি কুরবানী দেওয়ার চেষ্টা করবেন, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ফযীলতপূর্ণ একটা সুন্নত।২. ৬ পরিবারের সদস্যদের মাঝে যদি ৬ জনই আয় করে, এবং কুরবানি করার সামর্থ্য রাখে তাহলে কি তাদের সবাইকেই কুরবানি দিতে হবে? নাকি একজন দিলে একজনের পক্ষ থেকেই সবার জন্য কবুল হবে?
ছয়জন আলাদা হলে আলাদা কুরবানি দিতে হবে, আর সবাই একসাথে হলে পরিবারের গার্জিয়ান একা কুরবানি দিলেই হবে।৩. ঋণ থাকলে কি কুরবানি হয়?
হ্যা হয়, ঋণদাতা যদি সময় দেয় তাহলে সে কুরবানি দিতে কোন সমস্যা নাই।হবে, যদি হালাল টাকায় কেনা হয় আর ইখলাস ঠিক থাকে। লোক দেখানো হলে বা হারাম উপার্জনের টাকায় কেনা হলে কুরবানি বাতিল।
ইন শা আল্লাহ হবে, তবে তার কুরবানী করা থেকে ঋণ পরিশোধ করা জরুরী। অবশ্য যদি এমন হয় অনেক টাকা, আর আস্তে আস্তে পরিশোধ করছে, আর সে নিশ্চিত ঋণ পরিশোধ করতে পারবে সময়ের মাঝে, তাহলে কুরবানি কিনতে পারে।
হ্যা হবে, এইজন্যে ভালো দ্বীনদার ছাড়া অন্য কাউকে নেওয়া যাবেনা, এবং পশু ক্রয় করার পূর্বে যাচাই করে নিতে হবে বা শরীকদেরকে ইখলাসের ব্যপারে সতর্ক করে নিতে হবে।
বাতিল হবেনা, তবে ইচ্ছাকৃত গাফিলতি থাকলে অন্যের হক নষ্ট করার জন্যে দায়ী থাকবে।
জেনে শুনে হারাম টাকা নিয়ে কুরবানি দিলে হবেনা। আল্লাহ পবিত্র আর তিনি পবিত্র ছাড়া কোন কিছু কবুল করবেন না। হালাল টাকা ব্যবস্থা করে কুরবানি দিতে হবে।
যিনি কুরবানি দিবেন তিনি নিয়ত করবেন এই পশু তার এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে, তাহলে সকলেই সওয়াব পেয়ে যাবেন উল্লেখ্য এতে কুরবানিদাতার সওয়াব কমবেনা।
না, কুরবানির গোশত দিয়ে পারিশ্রমিক দেওয়া যাবেনা, আলাদা করে মূল্য নির্ধারণ দিতে হবে।
এমন কোন নিয়ম নেই, নিজের অংশ অতিরিক্ত থেকে গেলে ৭ দিন পরে খেতে কোন সমস্যা নেই।
এ সম্পর্কে একটা কথা আছে, কিন্তু সেটা জয়ীফ হাদীস। জয়ীফ হাদীসের কথা গ্রহণযোগ্য নয়।
হ্যা, পারবে।
ঈদের দিন উত্তম পোশাক পড়া সুন্নত, নতুন জামা পড়া কোন সুন্নত নয়। উত্তম পোশাক নতুন বা পুরোনোও হতে পারে। বাঙ্গালী নামধারী মুসলমানেরা ঈদের আগে যেইভাবে নতুন কাপড় কিনতে শপিং করছে এটা সুন্নত নয়, জাহালাত। শতকরা ৮০% মহিলাই বেপর্দা যাচ্ছে, তাদের পুরুষেরা তাদেরকে কন্ট্রোলে রাখেনা। মুসলমানদের অজ্ঞতা মূর্খতাই তাদের ইহকাল ও পরকাল ধ্বংস করছে।
যত দ্রুত দেওয়া যায়, কাজের বুয়া অস্বচ্ছল হলে দেওয়া যাবে।
১৬. কুরবানি আর আকিকা একি ছাগল দিয়ে কি হবে?
না, হবেনা।
Post a Comment
If you learn something from our post please comment...
EmoticonClick to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.