1
থানকুনি পাতার গুনাগুন ও খাওয়ার নিয়ম
আমরা বিভিন্ন আরোগ্য রোগ-বালাই থেকে নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করে থাকি, যার বেশি ভাগই আমাদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়। সর্বদা আমরা অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ বিভিন্ন রোগ-বালাই যেমন টাইফয়েড, ডায়রিয়া, কলেরা ও বিশেষ করে পেটের রোগ থেকে মুক্তির জন্য গ্রহণ করে থাকি। যা আবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে খুবই ব্যয়বহুল এবং স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু আপনি জানেন না যে, আপনার চারপাশে এমন কিছু ভেষজ আছে যেগুলো শুধু আপনার ব্যয়ই কমাবে তাই নয়, সাথে সাথে রোগ থেকেও পরিত্রান দিবে আপনাকে। থানকুনি এমনি একটি উপকারী ভেষজ।

বাংলা নাম থানকুনি। অঞ্চলভেদে এটি টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে পরিচিত। ইংরেজি নাম Indian Pennywort, 

যার বৈজ্ঞানিক নামঃ Centella asiatica 
বর্গ: Apiales 
পরিবার: Mackinlayaceae 
গণ: Centella 
প্রজাতি: C. asiatica 

থানকুনি একটি অনাবাদী ঔষধি গাছ। এটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে, মাঠে স্যাঁতস্যাতে জায়গাগুলোতে বর্ষাকালে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া সারা বছরই কম-বেশি পাওয়া যায়। 

এই গাছ পাওয়া যায় ভারত, সিংহল, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, এবং এশিয়ার অন্যান্য প্রান্তে ভেষজ হিসাবে এর বহুল ব্যবহার আছে । এর বহুল ব্যবহার আছে আয়ুর্বেদিক, প্রাচীন আফ্রিকীয়, চৈনিক ইত্যাদি অনেক দেশের দেশী চিকিৎসাবিদ্যায়। 


আয়ুর্বেদিকশাস্ত্র মতে, থানকুনি মানব শরীরের নানা রোগ নিরাময়ের মহৌষধ। 

ব্যবহার্য অংশ: মূল, কান্ড , ও পাতা। 

পরিচিতিঃ এই গাছটি ক্ষুদ্র লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা ক্ষুদ্র গোলাকৃতির। পাতার ধারে খাঁজ রয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র এই গাছটিকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে উপকূলীয় লবনাক্ত আবহাওয়ায় এটি ভালো জন্মে। গ্রামীণ সাধারণ মানুষের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়। 

বংশবিস্তার ও চাষ : 


বসন্তকালে থানকুনি লতার ফুল আসে এবং গ্রীষ্মতকালে ফল পাকে। বীজের মাধ্যমেও অঙ্গজ জনন উভয়ভাবেই থানকুনির বংশবিস্তার হয়। প্রতিটি গিট বা node থেকে শিকড় বের হয় এবং শিকড়সহ লতা এনে আর্দ্র জমিতে রোপন করলেই থানকুনি জন্মে। তবে খেয়াল রাখবে হবে যে এটি আর্দ্র মাটি পচন্দ করলেও জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশের মাটি থানকুনি জন্মানোর জন্য খুবই উপযোগী হলেও নার্সারীতেও এ লতার চারা পাওয়া কঠিন। তবে গ্রামাঞ্চলে এটি সর্বত্রই পাওয়া যায়। 

ভেষজের দুনিয়াতে থানকুনির স্থান রয়েছে অনেক উপরে। কারণ এর রয়েছে নানান গুণ। থানকুনি বর্ষজীবী উদ্ভিদ। কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই জন্মে। মাটির উপর লতার মতো বেয়ে ওঠে। পাতা গোলাকার ও খাঁজকাটা। সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশেই থানকুনি গাছ বেশি জন্মে। তাই পুকুরপাড় বা জলাশয়ের পাশে থানকুনির দেখা মেলে বেশি।

থানকুনির ভেষজ গুণাবলি ছাড়াও অনেকে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এটি রোপণ করে, তাছাড়া থানকুনি দিয়ে অনেক সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবার তৈরি করা যায়। থানকুনির নানা ভেষজ গুণ রয়েছে। আমাদের দেশের অনেকে থানকুনি পাতার ভর্তা ও খায়।

থানকুনির গুণাগুণ ও ব্যবহার  

থানকুনিতে যে সকল রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে সে গুলা হলো : 
» Indocentelloside 
» Brahmoside 
» Brahminoside 
» Asiaticoside 
» Thankuniside 
» Isothankuniside, 
» Triterpene glycosides 
» Indocentoic, brahmic 
» Mesoinositol 
» Oligosaccharide 
» Centellose 
» Kaempferol 


থানকুনি পাতার উপকারিতা 

চিকিৎসার অঙ্গণে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম । পক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে বহু রোগের উপশমই হয় থানকুনির ভেজজ তেল থেকে। খাদ্য উপায়ে থানকুনির সরাসরি গ্রহণ রোগ নিরাময়ে যথার্থ ভুমিকা পালন করে। অঞ্চল ভেদে এর বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন- থানকুনি, টেয়া , মানকি , তেতুরা, আদামনি, দোলামনি , থুলকুঁড়ি , মানামানি ইত্যাদি। এটি সাধারণত পুকুরের তীরে পাওয়া যায়। ডাক্তাররা বলে, যদি আপনি থানকুনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পেটের ব্যথাতে ভুগতে হবে না। আবার এটা শুধুমাত্র ঊষর প্রান্তর তাজা রাখে তাই নয় বরং বুদ্ধি বিকাশেও সাহায্য করে। এটি শৈশব থেকেই খেতে পারেন। তারুণ্য ধরে রাখতে এবং সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে থানকুনি অনেক উপকারী। আসুন থানকুনির আরও কিছু ব্যবহার জেনে নেয়া যাক।

থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে। 

- অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর। 

আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভাল হয়। 

- বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

- প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়। 

- যে সব বাচচা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে ধান কুনি পাতার রস গরম করে ঠান্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠান্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে অসুবিধাটা সেরে যায়। 

- ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে। 

প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়। অথবা, থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভাল হয়। 

থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেট ব্যথা ভাল হয়। 

প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের দোষে) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভাল হয়। 

যদি মুখ মলিন হয়, লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন। 

- মূলসহ সমগ্র গাছ নিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে দূষিত ক্ষত ধুতে হবে। 

- থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে গারগিল করতে হবে। 

- কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন। 

থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে। 

অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। 

মলের সঙ্গে শ্লেষ্ণা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। 

মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে। 

ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়। 

- পেটের রোগ নিরাময় করতে থানকুনির কোন বিকল্প নেই, আপনার যে কোন পেটের ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আপনি এটি নিয়মিত খেতে পারেন। আপনার পেটের ব্যথার জন্য আর কষ্ট ভোগ করতে হবে না।
- কেবল পেটের ব্যথা ছাড়াও আলসার এবং বিভিন্ন চর্মরোগ থানকুনি দ্বারা নিরাময় করা সম্ভাব। থানকুনির ব্যবহার আরও বিভিন্নভাবে করা যায়। যেমন- স্কিনের উজ্জলতা এবং নতুন চুল গজাতে এর ব্যবহার বলে শেষ করা যায় না।
- থানকুনির Bacoside A এবং Bacoside B উপাদান মস্তিষ্কের কোষের গঠন করতে সাহায্য করে এবং রক্তসংবহন বাড়ায়।
- অল্প পরিমান আমগাছের ছাল, আনারসের কচিপাতা ১ টি ,কাচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছের শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি আরও কার্যকর।
- স্কিনের মৃতপ্রায় কোষের জন্য থানকুনি অনেক উপকারী। থানকুনির রস মৃতপ্রায় কোষ পুনরায় সংগঠিত করতে পারে। এবং শুষ্ক হওয়া থেকে বাচায়, যারফলে শুষ্ক ত্বক মসৃণ হয়ে যায়।
- কোনো পুরাতন ক্ষত নিরাময় না করতে পারলে সেদ্ধ থানকুনি পাতার প্রলেপ দিলে অনেক বেশি উপকার হয়।
- থানকুনি চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।এই ক্ষেত্রেও থানকুনির গুনাগুন অপরিসীম।
- আপনার যদি বয়স বাড়ার ফলে নিজেকে দুর্বল অনুভূত হয়, সেই ক্ষেত্রে থানকুনির রস প্রতিদিন পান করলে তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন। চেহারা সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য দুধ এর সাথে এক গ্লাস থানকুনি পাতার রস পান করতে হবে, যার ফলে আপনার কনফিডেন্স আরো বেড়ে যাবে।
- দাঁতের নানান রোগ ভাল করার পেছনে থানকুনি পাতার বিকল্প নেই। রক্তপাত, মাড়ি ও দাঁত ব্যথার ক্ষেত্রেও পাওয়া যাবে সুফল। যদি থানকুনি পাতার রস নিয়ে পানি কুলি করা হয়, দাতের ব্যথা অনেক কমে যাবে। একটি বড় বাটির মধ্যে থানকুনি পাতার প্রলেপ করে দিলে শরীরের ফোঁড়াতে ভাল ফলাফল শীঘ্রই পেতে পারেন।
- থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনির পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে পেটের গ্যাস্টিক ভাল হয়।
- বেগুন/পেপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুঁকতা রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- জর ও আমাশয়ে থানকুনির পাতার রস খেলে উপকার হয়।
- প্রতিদিন খালি পেটে ৪ চামচ থানকুনি পাতার রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভাল হয়।
- বাচ্চাদের কথা স্পষ্ট না হলে ১ চামচ থানকুনির পাতার রস গরম করে খাওয়ালে কথা স্পষ্ট হবে।
-. প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ ও ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস সামান্য চিনি বা মধুর সাথে খাওয়ালে বাঁচাদের লিভারের সমস্যা সমাধান হয়।

থানকুনি পাতার যেভাবে খেতে পারেনঃ 

---------------------থানকুনি পাতার ভাজি
উপকরনঃ
আলু ২(কুচি করে কাটা)
থানকুনি পাতা ২ আটি
পেয়াজ কুচি ১ কাপ
কাঁচা মরিচ (ফালি করা)৪-৫ টি
লবন (পরিমান মত)
হলুদ (পরিমান মত)
তেল ২ টেবিল চামচ

রান্নার প্রনালী :
- প্রথমে থানকুনি পাতা বেছে ধুয়ে কুচি করে নিন।
- আলু চিকন কুচি করে নিন।
- এখন কড়াই এ তেল দিয়ে গরম হলে লবন, পেয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নড়ুন।
- পেয়াজ একটু লাল হয়ে হলুদ দিয়ে নেড়ে আলু দিয়ে দিন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
- আলূ একটু ভাজা ভাজা হলে থানকুনি পাতা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার ঢেকে দিন।
- পানি শুকিয়ে ভাজা ভাজ হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।


----------------------থানকুনি পাতার ভর্তা
উপকরণ:
-থানকুনি পাতা(মিহি কুচি করা)…৩ কাপ
-সিদ্ধ আলু (ম্যাশ করা)… ১ কাপ
-পোঁড়া মরিচ…৪/৫ টি
- লবণ…পরিমান মত
-পিঁয়াজ কুচি…২ টেবিল চামচ
-সরিষার তেল…পরিমান মত

প্রনালী:
থানকুনি পাতা কুচি, পোঁড়া মরিচ, লবণ,পিঁয়াজ কুচি একসাথে নিয়ে কঁচলে নিয়ে তাতে সিদ্ধ আলু দিয়ে সব উপকরণ মেখে নিন।
এবার এতে সরিষার তেল দিয়ে মেখে নিন। হয়ে গেল ভিন্ন রকম থানকুনি পাতার ভর্তা।


আপনি চাইলে রসুন, কাঁচা মরিচ, পিঁয়াজ টেলে নিয়ে বেটে নিয়ে তার সাথে থামকুনি পাতা বেটে নিয়ে লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে মেখেও ভর্তা করে নিতে পারেন।


----------------------থানকুনি পাতা দিয়ে পিয়াজু 
 উপকরণ -
থানকুনি পাতা কুচি-১০০ গ্রাম 
- পুদিনা পাতা কুচি-৫০ গ্রাম 
- ডিম-১টি 
- পিঁয়াজ কুঁচি-২ টেবিল চামচ 
- রসুন কুঁচি-২ টেবিল চামচ 
- কালজিরা-২ চা চামচ 
- লবন-১ চা চামচ 
- কাঁচামরিচ কুঁচি-১ টেবিল চামচ 
- বেসন-৩ টেবিল চামচ 
- তেল-২ কাপ 
- ঘি-১ টেবিল চামচ 

প্রণালি 
প্রথমে একটি বাটিতে থানকুনি পাতা কুঁচি, পুদিনা পাতা কুঁচি, ডিম, পিঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কালজিরা, লবণ, কাঁচা মরিচ কুঁচি, বেসন দিয়ে ভালকরে মাখিয়ে পিঁয়াজু তৈরি করতে হবে। এবার চুলায় একটি কড়াই দিন, কড়াইয়ে তেল ও ঘি দিন, তেল ও ঘি গরম হলে ভেঁজে তুলতে হবে। তৈরি হয়ে গেল থানকুনি পাতার পিঁয়াজু। 

--------------------সাধারন থানকুনির ভর্তা
উপকরণ
থানকুনি পাতা ৪০-৫০তি, রসুন একটি, কাচা মরিচ একটি, লবণ পরিমাণ মত।

প্রস্তুত প্রণালী

থানকুনি পাতা কুচি কুচি করে কেটে মরিচ, রসুন,লবন মিশিয়ে বাটায় বেটে নিলেই ভর্তা প্রস্তুত হয়। থানকুনি পাতা শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। ভর্তা করে বা কাঁচা পাতা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। থানকুনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।

কোথায় পাবেন?

এখন প্রশ্ন হলো ব্যস্ত নগরজীবনে থানকুনি পাতা খোঁজে পাবেন কোথায়। গ্রামে অবশ্য থানকুনি গাছের অভাব নেই। সহজেই দেখা মেলে ঝোপে জঙ্গলে। শহরাঞ্চলে থানকুনির খোঁজ পাওয়া একটু কঠিনই বটে। তবে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কাঁচা বাজারগুলোতে একটু খোঁজ করলেই মিলবে থানকুনি পাতা। ফ্রিজেও কয়েকদিন রাখতে পারবেন থানকুনি পাতা। আর যারা গ্রামে বাস করেন তারা বাড়ির আশপাশে খোঁজ করুন, সহজেই মিলে যাবে।

অথবা যারা আরও একটু সচেতন তারা ইচ্ছে করলেই বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দার এক কোনায় টবের ভেতরই লাগাতে পারেন থানকুনি গাছ। চারা পেতেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যে কোনো নার্সারিতে একটু খুঁজলেই মিলবে থানকুনি গাছ। 

Post a Comment

If you learn something from our post please comment...

 
Top