আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা একটি অন্যতম বড় সমস্যা। দেশের এমন কোন এলাকা নেই যেখানে গ্রীস্মকালে অন্তত একবার বিদ্যুতের লোড শেডিং হয় না। এই সমস্যা সমাধানে অনেকেই বাসায় আইপিএস ব্যবহার করেন। কিন্তু অত্যধিক লোডশেডিং এ আইপিএস ব্যাকআপ দিতে পারে না। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাথে চাহিদার পার্থক্য ও আছে অনেক।
Installed Capacity of BPDB Power Plants as on April 2015 | |||
Unit Type | Capacity(Unit) | Total(%) | |
0.00 | MW | 0 % | |
Coal | 250.00 | MW | 2.18 % |
F.Oil | 0.00 | MW | 0 % |
FO | 12.00 | MW | 0.1 % |
Gas | 7644.00 | MW | 66.71 % |
HFO | 2034.00 | MW | 17.75 % |
HSD | 789.00 | MW | 6.89 % |
Hydro | 230.00 | MW | 2.01 % |
Imported | 500.00 | MW | 4.36 % |
Total | 11459.00 | MW | 100 % |
Derated Capacity of BPDB Power Plants as on April 2015 | |||
Unit Type | Capacity(Unit) | Total(%) | |
0.00 | MW | 0 % | |
Coal | 200.00 | MW | 1.93 % |
F.Oil | 0.00 | MW | 0 % |
FO | 64.00 | MW | 0.62 % |
Gas | 6650.00 | MW | 64.21 % |
HFO | 1993.00 | MW | 19.24 % |
HSD | 720.00 | MW | 6.95 % |
Hydro | 230.00 | MW | 2.22 % |
Imported | 500.00 | MW | 4.83 % |
Total | 10357.00 | MW | 100 % |
দৈনিক সর্বচ্চো ১০৩৫৭ মে.ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতার বিপরীতে বিদ্যুতের উৎপাদন কম হয় নানা সীমাবদ্ধতার কারনে।
এইসব সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে সৌর বিদ্যুৎ। অনেকের ই স্পষ্ট ধারনা নেই সৌর বিদ্যুৎ ও এর খরচের ব্যাপারে।
এবার মূল বিষয়ে আসা যাক, বাড়িতে ব্যাবহার উপযোগি সৌর বিদ্যৎ কিভাবে ব্যাবহার করা যায় তা নিয়েই আজকের আমার লেখা।
ডিসি ও এসি দুই সিস্টেমেই সৌর বিদ্যুৎ ব্যাবহার করা যায়। আজ আমরা শুধু ডিসি সিস্টেম নিয়েই আলোচনা করব।
সৌর বিদ্যুতের ডিসি প্লান্ট স্থাপনের জন্য আমাদের নিচের উপাদানগুলো প্রয়োজনঃ
১. সোলার প্যানেল (Mono crystalline/ Poly crystalline)
২. সোলার স্ট্রাকচার (অপশনাল)
৩. সোলার চার্জ কন্ট্রলার
৪. ডিপ রিসাইকেল ব্যাটারী
৫. প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রিক তার
৬. লাইট, ফ্যান ইত্যাদি।
*Mono crystalline সোলার প্যানেলের Efficiency একটু বেশি Poly crystalline সোলার প্যানেলের তুলোনায়।
সৌর বিদ্যুৎ 12v ও 24V দুই সিষ্টেমে ব্যাবহার করা যায়। সাধারনত 12V সিষ্টেম বহুল ব্যাবহৃত।
বাংলাদেশের ভৌগলিক প্রেক্ষাপটে গড়ে ৫ ঘন্টা সরাসরি সূর্যের আলো পাওয়া যায়।
এখন আমরা জানব কত ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন।
মনে করি, কোন বাসায় বিদ্যুতের ব্যাবহারের চিত্র নিচের মতঃ
Sr.No | Equiment Name | No | Watt | Using Hr/Day | Watt Hr./Day | ||
1 | Light1 | 1 | 10 | 7 | 70.0 | ||
2 | Light2 | 1 | 5 | 1 | 5.0 | ||
3 | Light3 | 1 | 5 | 2 | 10.0 | ||
4 | Light4 | 1 | 5 | 2 | 10.0 | ||
5 | Light5 | 1 | 10 | 3 | 30.0 | ||
6 | Light6 | 1 | 5 | 3 | 15.0 | ||
7 | Light7 | 1 | 5 | 6 | 30.0 | ||
8 | Light8 | 1 | 5 | 3 | 15.0 | ||
9 | Light9 | 1 | 5 | 11 | 55.0 | ||
10 | Light10 | 2 | 5 | 1 | 10.0 | ||
11 | Light11 | 2 | 3 | 1.5 | 9.0 | ||
TOTAL |
|
অর্থাৎ বিদ্যুতে দৈনিক চাহিদা ২৫৯ ও.ঘ/দিন। ২% বিদ্যুতের ক্ষয়/অপচয় ধরা হয় তার ও ব্যাটারীর কারনে
অর্থাৎ ২৫৯*১.০২=২৬৫.২০ ও.ঘ/দিন
আমাদের সিস্টেম 12 V, সুতরাং (২৬৫.২০ ও.ঘ/দিন)/ (১২ ভ.) = ২২.১০ Amp-Hrs d-1 যা আমাদের দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমান।
ডিপ রিসাইকেল ব্যাটারীতে তার মোট ধারন ক্ষমতার অর্ধেক পরিমানে ডিসচার্জ করতে হয়, এর বেশি করলে ব্যাটারীর আয়ু কমে যায়। আর কত দিনের জন্য আমরা বিদ্যুৎ সংরক্ষন করব তার উপর নির্ভর করে আমাদের ব্যাটারী কিনতে হবে। যদি আমরা ২ দিনের বিদ্যুৎ সংরক্ষন করতে চাই তাহলে আমাদের ব্যাটারী দরকার হবে
(২২.১০Amp-Hrs d-1)*২/০.৫=৮৮.৪ Amp-Hrs
অর্থাৎ আমাদের ৯০ Amp-Hrs এর ব্যাটারী প্রযোজন।
এবার আমরা সোলার প্যানেল এর ওয়াট কত হবে তা নির্ধারন করি
আমরা গড়ে ৫ ঘন্টা সূর্যের আলো পাই। সাধারনত প্যানেলের নমিনাল ভোল্ট হচ্ছে ১৮ ভোল্ট। আর আমাদের দৈনিক চাহিদা ২২.১০ Amp-Hrs d-1
সুতরাং আমাদের সোলার প্যানেল প্রয়োজন (২২.১০Amp-Hrs d-1)*১৮ ভোল্ট/ ৫ ঘন্টা =৭৯.৫৭ ওয়াট রেটেড বা ৮০ওয়াট রেটেড সোলার প্যানেল। এখানে বলে রাখা ভাল সোলার প্যানেলের নমিনাল ভোল্ট বা প্যানেলের অ্যাম্পিয়ারের উপর বিদ্যুৎ উৎপাদন নির্ভরশীল।
এখন আমরা এসকল দ্রব্যের মূল্য ও গুনগত মান সম্পর্কে জানব
সোলার প্যানেলের ওয়াট প্রতি দাম ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। জার্মান সোলার প্যানেল সবচেয়ে ভালো তবে বাংলাদেশী সোলার প্যানেল গুলোও বেশ ভালো সার্ভিস দেয়, দাম ৫৫-৭০ টাকার মধ্যে। তবে দেখার বিষয় সোলার প্যানেল IDCOL এর সার্টিফাইড কিনা। প্যানেল এর ওয়ারেন্টি ২০-২৫ বছর হয়ে থাকে।
১০A এর একটা চার্জকন্ট্রলারের দাম ৩০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। বাংলাদেশি গুলোই ভালো। ৩ বছরের গ্যারান্টি ও IDCOL এর সার্টিফাইড দেখে নেয়া ভালো। অনেকে IDCOL স্টান্ডার্ড বলে চার্জকন্ট্রলার বিক্রি করে থাকে সেগুলো না নেয়ায় ভালো।
ব্যাটারী নেয়ার ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি সেবার মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত। ডিসি ব্যাবহারে ব্যাটারির ওয়ারেন্টি ৫ বছর হয়ে থাকে। ১০০ AH এর একটা ব্যাটারীর দাম ১০,০০০-১১,০০০ টাকার মধ্যে।
এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় লাইট। LED tube light ব্যাবহার করা উত্তম। বাজারে ওয়ারেন্টি ছাড়া ও সহ অনেক ধরনের LED tube light দেখা যায়। তবে নরমাল লাইট না নিতে T5 বা T8 লাইট নেয়া উচিৎ। T8 এ একটু আলো বেশি পাওয়া যায়। ওয়ারেন্টি ছাড়া ৬ ওয়াটের T8 টিউব লাইটের দাম ৯০-১১০ টাকা প্রতি পিছ। T5 এর ক্ষেত্রে দাম ৮০-১০০ টাকা। তবে এছাড়াও আরো কিছু সাধারন মানের লাইট পাওয়া যায় যেগুলোর দাম ৩০-৬০ টাকা ৩-৫ ওয়াট। বাজারে ডিসি লোডের টেবিল ফ্যান পাওয়া যায় দাম ৮০০-১২০০ টাকা।
এছাড়াও এসি সোলার সিষ্টেম ও কম্বাইন্ড সোলার সিষ্টেম এবং আধুনিক ৩জি সোলার সিষ্টেম ব্যাবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যাবহার করা যায়।
আলোর পরিমানঃ আমি আমার বাড়িতে ১০ ওয়াটের LED T8 লাইট ব্যাবহার করেছিলাম যার আলোর পরিমান ৩৬ ওয়াটের টিউব লাইটের সমান। ৬ ওয়াটের LED লাইটের আলো ২০ ওয়াট এনার্জি বাল্বের সমান প্রায়। ৩ ওয়াটের LED T5 লাইটের আলো ১৫ ওয়াট এনার্জি বাল্বের সমান প্রায়।
মোট খরচঃ
৮০ ওয়াটের প্যানেল ৮০ X ৬০ = ৪৮০০ টাকা
১০A এর একটা চার্জকন্ট্রলার = ৫০০ টাকা
১০০ AH এর একটা ব্যাটারীর = ১০,০০০টাকা
--------------------------------------------------
মোট খরচ =১৫৩০০ টাকা
Post a Comment
If you learn something from our post please comment...