0
মুরগি কেবাংচট্টগ্রামে গিয়ে মেজবানি মাংস খেয়েছেন কিংবা সিলেটে গিয়ে সাতকরার রান্না! বাংলাদেশের একেক অঞ্চলে আছে বিশেষ বিশেষ খাবার, যে খাবারগুলোর সঙ্গে এক হয়ে গেছে সেই অঞ্চলের নাম। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাঁশের মধ্যে রান্না করা খাবারের জনপ্রিয়তা বেশ। তেমনই একটি খাবার মুরগি কেবাং। চিত্রশিল্পী কনকচাঁপা চাকমা রেসিপি দিলেন মুরগি কেবাংয়ের।

উপকরণ
মুরগি আধা কেজি, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, আদাবাটা ২ চা-চামচ, লবণ সিকি চামচ, হলুদ গুঁড়া পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ (আধা বাটা) ৩ চামচ, পেঁয়াজ বড় ২টি ও ধনেপাতা পরিমাণমতো।
১৮ বা ২০ ইঞ্চি লম্বা একটি বাঁশের চোঙা, কলাপাতা বাঁশের মুখ বন্ধ করার জন্য, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: মুরগি ছোট টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিয়ে তার মধ্যে রসুনবাটা, আদাবাটা, লবণ, হলুদ গুঁড়া, কাঁচা মরিচবাটা, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা (মাঝারি সাইজের কাটা) ও সয়াবিন তেল মিশিয়ে মাংসের টুকরাগুলো ভালোভাবে মাখতে হবে। ১৫ মিনিট মাখিয়ে রাখার পরে বাঁশের চোঙাটি ধুয়ে (ভেতরে পানি দিয়ে) তার মধ্যে মেশানো উপকরণসহ মুরগি ভরে দিতে হবে। এবার কলাপাতার টুকরা দুই ভাঁজ করে চানাচুরের কোনাকৃতি ঠোঙার মতো করে বানিয়ে বাঁশের মুখটি বন্ধ করে কয়লার চুলায় এটি আস্তে করে অল্প আঁচে ঘুরিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিতে হবে। জ্বলন্ত আগুনে না দিয়ে আঁচ পড়ে যাওয়া জ্বলন্ত কয়লার মধ্যে মাংস সেদ্ধ হবে ভালো। বাঁশের ভেতরে যখন মাংস সেদ্ধ হতে থাকবে, তখন কলাপাতার ঢাকনা খুলে লবণ চেখে নিতে পারেন। এভাবে ৪৫ মিনিট কয়লার আগুনে মাংস সেদ্ধ হয়ে যাবে। গরম-গরম পরিবেশ করলে খেতে সুস্বাদু লাগবে।
মুরগি কেবাংমুরগি কেবাং

Post a Comment

If you learn something from our post please comment...

 
Top